স্টাফ রিপোর্টারঃ
কৃত্রিম পা লাগিয়ে রোগী সেজে অ্যাম্বুলেন্স যোগে অভিনব কৌশলে হেরোইন পাচারকালে দুইজনকে আটক করেছে র্যাব-১৩ গাইবান্ধা ইউনিট এর সদস্যরা। এতে নেতৃত্ব দেন গাইবান্ধা ইউনিটের প্রধান চৌকস অফিসার, র্যাব-১৩ সিপিসি ৩ কোম্পানি কমান্ডার
লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মির্জা শাহেদ মাহতাব (এক্স) পিপিএম বিএন।
আজ বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) ভোরে গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন মহাসড়কে চেকপােস্ট বসিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়। এ সময় আনুমানিক ১০/১১ লাখ টাকা মূল্যের অর্ধ কেজি হেরোইন ও এ্যাম্বুলেন্স জব্দ করা হয়।
র্যাব-১৩ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক কমান্ডার রেজা আহমেদ ফেরদৌস এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, দুইজন মাদক কারবারি একটি এ্যাম্বুলেন্স রাজশাহী থেকে রংপুর আসছে এমন গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার ভোরে র্যাবের একটি অভিযানিক দল গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন মহাসড়কের উপর জরুরি চেকপােস্ট স্থাপন করে। এসময় সন্দেহভাজন একটি এ্যাম্বুলেন্স তল্লাশি করে দেখা যায়, দুইজনের মধ্যে একজন এক পা পঙ্গু এবং তার সারা শরীরে টিউমার রয়েছে। উক্ত ব্যক্তির এক পা হাঁটু থেকে বিচ্ছিন্ন। তাতে কৃত্রিম প্লাস্টিকের পা সংযুক্ত কৃত্রিম প্লাস্টিকের পায়ের ব্যাপারে সন্দেহ হলে তল্লাশি করে কৃত্রিম প্লাস্টিকের পায়ের ভেতর অভিনব কায়দায় মাদকদ্রব্য হেরােইন উদ্ধার করা হয়। এসময় এ্যাম্বুলেন্স চালক ও মাদক কারবারি বুলবুল আহম্মেদ ( ৪০ ) ও আজিজুর রহমানকে ( ৩৫ ) আটক করা হয়। উভয়েই রাজশাহীর বাসিন্দা। এসময় ৪১০ গ্রাম হেরােইন ও অ্যাম্বুলেন্সটি জব্দ করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে,আটককৃতরা দীর্ঘদিন দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসার সাথে তাদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন। এছাড়াও এর আগে একই কৌশল অবলম্বন করে তারা মাদক পাচার করেছিলেন বলে জানান। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান এই র্যাব কর্মকর্তা। তিনি আরও বলেন, সরকার ঘােষিত চলমান কঠোর লকডাউনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর অবস্থানের কারণে মাদক কারবারিরা ছদ্মবেশ ধারণসহ নানারকম অভিনব কায়দায় বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়েছে। তবে প্রশাসন তা কঠোর হস্তে দমনে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।