গাইবান্ধায় আইনি সহযোগিতা চেয়ে সংবাদ সন্মেলন করেছে গাইবান্ধা জেলা হিসাব রক্ষণ অফিসে কর্মরত সুপারটেনডেন্ট মো. লুৎফর রহমানের (লিপু মণ্ডল) স্ত্রী রায়হানা পারভীন। বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকালে গাইবান্ধা শহরের খানকাশরীফের নিজবাসভবনে এ সংবাদ সন্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সন্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রায়হানা পারভীন। তিনি বলেন, গত ১৮ জুলাই ২০২১ রিয়াজুল জান্নাতের পক্ষে একটি লিগ্যাল নোটিশে জানতে পারি জন্মগত প্রতিবন্ধী আমার দেবর মো. লিচু মন্ডল, স্বামী মোঃ লুৎফর রহমান ও শ্বশুর আব্দুর রাজ্জাককে সমন্ধয় করে চাকরী বাবদ ৪,৫০,০০০/- টাকা নেওয়ার অভিযোগ করে নোটিশ পাই। এরপর বিষয়টি আলোচনা করে জানতে পারি লিচু মন্ডল ও রিয়াজুল মন্ডল ২০১৯ সালে আইপিএল খেলায় জুয়ার বাজি ধরত। বাজিতে হেরে গেলে এবং দীর্ঘদিন যাবত টাকা না পেয়ে লিচু মন্ডলের কাছ থেকে রিয়াজুল তিনটি নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়। পরবর্তীতে এই জুয়ার টাকায় দায়ে আমার স্বামী লুৎফর রহমান ও শ্বশুর আব্দুর রাজ্জাককে মিথ্যা ভাবে মামলায় জড়ায়। বিষয়টি গাইবান্ধার সিনিয়র আইনজীবি, পিপি ফারুক আহমেদ প্রিন্সের বাসায় আলোচনার সিদ্ধান্ত মোতাবেক গত ১৭-৮-২০২১ তারিখে বসে আলোচনা হলে সেখানে জুয়া বাজির ২৩০,০০০/- টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে লিচু মন্ডল এবং ৪,৫০,০০০/- টাকা দিয়েছে বলে রিয়াজুল জানায়। বিষয়টি নিয়ে আলোচনার এক পর্যায়ে কথা-কাটাকাটি হলে পরে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে পিপি প্রিন্স ও জেলা বারের সভাপতি এ্যাড. আহসানুল করিম লাচু জানায়। কিন্তু হঠাৎ গত ২৮-০৮-২০২১ তারিখে রাত্রি বেলা আমার স্বামী লুৎফর রহমানকে গাইবান্ধা সদর থানা পুলিশ ডেকে নেয় এবং গাইবান্ধার বিজ্ঞ পিপি ফারুক আহমেদ প্রিন্সের দায়ের করা দ্রুত বিচার আইনের জি, আর ৪৯২/২১ মামলায় গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করে। অথচ আমার স্বামী এই টাকার সাথে কোন ভাবেই জড়িত নয়। এদিকে বাদী সিনিয়র আইনজীবী হওয়ায় আমার স্বামীর পক্ষে কেউ আদালতে কথা বলতে চাইছে না। কোন আইনজীবী আমার স্বামীর মিথ্যা মামলার বিরুদ্ধে আদালতে জামিনের জন্য আবেদন করছেন না। তাই গাইবান্ধার পুলিশ সুপার, আইনজীবী ও বিজ্ঞ আদালতের কাছে আমি আমার স্বামী ও পরিবারের নিরাপত্তাসহ সুবিচার কামনা করছি।